প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের (পরিবেশ দূষণ) পরীক্ষায় আসা কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
প্রিয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা, আশা রাখি সবাই ভালো আছ। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে বিগত বছরে চার ধরনের প্রশ্ন আসছে। ১ নংয়ে ১৫ টি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন থাকে এবং ১৫ টিরই উত্তর দিতে হয়। নম্বর হচ্ছে ২x১৫=৩০। ২ নংয়ে ১৪ টি শূন্যস্থান পূরণ থাকে এদের মধ্যে যেকোন ১২ টি শূন্যস্থান পূরণ করে লিখতে হয়। নম্বর হচ্ছে ১x১২=১২। ৩ নংয়ে মিলকরণ দেওয়া থাকে। বামপাশে ৫ টি ও ডানপাশে ৭ টি বাক্য দেওয়া থাকে। নম্বর হচ্ছে ২x৫=১০। ৪ নংয়ে ১০ টি কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন দেওয়া থাকে এদের মধ্যে ৮ টির উত্তর দিতে হয়। নম্বর হচ্ছে ৬x৮=৪৮। আজকের পোস্টটে তোমাদের প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের পরিবেশ দূষণ প্রথম অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা থাকবে।
দ্বিতীয়
অধ্যায়ের (পরিবেশ দূষণ)
১
নংয়ের সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নঃ
১.
পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?
২.
পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ কী?
৩.
তিনটি জীবাশ্ম জালনির নাম লেখ।
৪.
সমূদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?
৫.
বায়ু দূষণের দুইটি কারণ লেখ।
৬.
বায়ু দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
৭.
এসিড বৃষ্টি কী?
৮.
পানি দূষণের দুইটি কারণ লেখ।
৯.
পানি দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
১০.
মাটি দূষণের দুইটি কারণ লেখ।
১১.
মাটি দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
১২.
শব্দ দূষণের দুইটি কারণ লেখ।
১৩.
শব্দ দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।
১৪.
শব্দ দূষণ প্রতিরোধের দুইটি উপায় লেখ।
১৫.
পরিবেশ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
১৬.
পরিবেশ সংরক্ষণের দুইটি উপায় লেখ।
১৭.
পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় কী?
১
নংয়ের সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্নের উত্তরঃ
১.
বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশে পরিবেশের পরিবর্তন হয় যা জীবের জন্য
ক্ষতিকর তাকে বলে পরিবেশ দূষণ।
২.
পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিল্পায়ন।
৩.
তিনটি জীবাশ্ম জালনির নাম হলো তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা।
৪.
সমূদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায়
হিমবাহ গলে যাওয়া।
৫.
বায়ু দূষণের দুইটি কারণ নিচে দেওয়া হলো-
১. যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া বায়ুতে মিশা
২. যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং মলমূত্র
ত্যাগ করার ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ মিশা।
৬.
বায়ু দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব নিচে দেওয়া হলো-
১. পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. মানুষের ফুসফেসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ
হচ্ছে।
৭.
ক্ষতিকর বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও গ্যাস বৃষ্টির পানিতে মিশে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে।
৮.
পানি দূষণের দুইটি কারণ হলো-
১. গৃহস্থালির বর্জ্য ও কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য
পানিতে মিশে পানি দূষিত করে।
২. ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলা ও পানিতে কাপড় ধোয়ার
কারণে পানি দূষিত হয়।
৯.
পানি দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব নিচে দেওয়া হলো-
১. পানি দূষণের ফলে জলজ খাদ্য শৃঙ্খলের ব্যাঘাত
ঘটে এবং জলজ প্রাণী মারা যায়।
২. পানি দূষণের ফলে মানুষ কলেরা, ডায়রিয়া, বিভিন্ন
চর্মরোগে আক্রান্ত হয়।
১০.
মাটি দূষণের দুইটি কারণ নিচে দেওয়া হলো-
১. কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক মাটিতে মিশে
মাটি দূষিত হয়।
২. গৃহস্থলি ও হাসপাতালের বর্জ্য মাটিতে মিশে মাটি
দূষিত হয়।
১১.
মাটি দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব নিচে দেওয়া হলো-
১. মাটি দূষণের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়।
২. দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসাবে গ্রহণের
ফলে মানুষের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
১২.
শব্দ দূষণের দুইটি কারণ নিচে দেওয়া হলো-
১. উচ্চস্বরে মাইক বা লাউড স্পিকার বাজিয়ে মানুষ
শব্দ দূষণ করছে।
২. যানবাহন ও কলকারখানার যন্ত্রপাতির শব্দ শব্দ
দূষণের কারণ।
১৩.
শব্দ দূষণের দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব নিচে দেওয়া হলো-
১. শব্দ দূষণ মানুষের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার
সৃষ্টি করে।
২. শব্দ দূষণের ফলে মানুষের অবসন্নতা, শ্রবণ শক্তি
হ্রাস, ঘুমে ব্যাঘাত, কর্মদক্ষতা হ্রাস ইত্যাতি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
১৪.
শব্দ দূষণ প্রতিরোধের দুইটি উপায় নিচে দেওয়া হলো-
১. অযথা হর্ন না বাজানো।
২. অপ্রয়োজনে
উচ্চ শব্দ বা লাউড স্পিকার না বাজানো।
১৫.
পরিবেশ সংরক্ষণের দুইটি উপায় নিচে দেওয়া হল_
১. পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল করেও প্রাকৃতিক পরিবেশ
সংরক্ষণ করা যায়।
২. গাড়ি চড়ার পরিবর্তে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার
করে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।
১৬.
পরাগায়নের একটি গুরুত্ত্ব হলো- পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়।
১৭.
পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
২
নংয়ের শূন্যস্থানঃ
১.
বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে -------হয়।
২.
পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো -----।
৩.
পরিবেশের বেশিরভাগ দুষণ মানুষের -------ফলেই হয়ে থাকে।
৪.
দূষণের ফলে জীবযন্তুর ---- নষ্ট হচ্ছে।
৫.
বায়ু, পানি, মাটি ও শব্দ দুষণের মাধ্যমেই সাধারনত -----দূষিত হয়।
৬.
বায়ু দূষণের ফলে ----- বৃষ্টি হচ্ছে।
৭.
বায়ু দূষণের ফলে মানুষের ---- ক্যান্সার হয়।
৮.
--- দূষণে জলজ খাদ্য শৃঙ্খলের ব্যাঘাত ঘটছে।
৯.
কলেরা বা ডায়রিয়া হয় ---- দূষণের কারণে।
১০.
---- দূষণের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়।
১১.
দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসাবে গ্রহণের ফলে ---- ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
হচ্ছে।
১২.
কর্মদক্ষতা হ্রাস পায় --- দূষণে কারণে।
১৩.
--- রোপন করে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যায়।
২
নংয়ের শূন্যস্থান পূরণের উত্তরঃ
১.
পরিবেশ দূষিত
২.
শিল্পায়ন
৩.
দৈনন্দিন কর্মাকান্ডের
৪.
আবাসস্থল
৫.
পরিবেশ
৬.
এসিড
৭.
ফুসফুসের
৮.
পানি
৯.
পানি
১০.
মাটি
১১.
মানুষের
১২.
শব্দ
১৩.
বৃক্ষ
৩ নংয়ের মিলকরণঃ
বামপাশ | ডানপাশ |
---|---|
১. বায়ূ দূষণ | ১. সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। |
২. পানি দূষণ | ২. দুর্গন্ধ ও যন্ত্রপাতির শব্দ। |
৩. মাটি দূষণ | ৩.সমূদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি। |
৪. শব্দ দূষণ | ৪. যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া। |
৫. হিমবাহ গলা | ৫. গাড়ির হর্ন ও কীটনাশকের ব্যবহার। |
৬. উচ্চস্বরে গান বা মাইক বাজানো। | |
৭.পয়ঃনিষ্কাশন ও গৃহস্থলির বর্জ্য। |
৩
নংয়ের মিলকরণের উত্তরঃ
১+৪
২+৭
৩+১
৪+৬
৫+৩
৪
নংয়ে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নঃ
১.
পরিবেশ দূষণের দুইটি উৎসের নাম লেখ। পরিবেশ দূষণের তিনটি কারণ ও দুইটি ক্ষতিকর প্রভাব
লেখ।
২.
বায়ু দুষণের তিনটি কারণ লেখ। বায়ু দুষণের তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিরোধের দুইটি
উপায় লেখ।
৩.
পানি দুষণের তিনটি কারণ লেখ। পানি দুষণের তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিরোধের দুইটি
উপায় লেখ।
৪.
মাটি দুষণের তিনটি কারণ লেখ। বায়ু দুষণের তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিরোধের দুইটি
উপায় লেখ।
৫.
শব্দ দুষণের তিনটি কারণ লেখ। শব্দ দুষণের তিনটি ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিরোধের দুইটি
উপায় লেখ।
৬. পরিবেশ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ? পরিবেশ সংরক্ষণের পাঁটি উপায় লেখ।
প্রথমঅধ্যায়ের সকল প্রশ্ন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আশা
করি, আজকের পোস্টটি সবার কাছে ভালো লেগেছে। পরবর্তী পোস্টটে প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের
জীবনের জন্য পানি তৃতীয় অধ্যায়ের সকল প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব।
0 Comments