পঞ্চম শ্রেণি গণিতের ১১০ টি সূত্র ও সংজ্ঞা
১। গুণফল = গুণ্য × গুণক
২। গুণক = গুণফল ÷ গুণক।
৩। গুণ্য = গুণফল ÷ গুণক
নিংশেষে বিভাজ্য হলে,
৪। ভাগফল = ভাজ্য ÷ ভাজক
৫। ভাজক =ভাজ্য ÷ ভাগফল।
৬। ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল।
নিংশেষে বিভাজ্য না হলে,
৭। ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল + ভাগশেষ।
৮। ভাজ্য = (ভাজ্য – ভাগশেষ) ÷ ভাগফল।
৯। ভাগফল = ( ভাজ্য – ভাগশেষ) ÷ ভাজক।
১০। গড় = রাশিগুলোর যোগফল ÷ রাশিগুলোর সংখ্যা।
১১। লাভ = বিক্রয়মূল্য – ক্রয়মূল্য।
১২। ক্ষতি = ক্রয়মূল্য – বিক্রয়মূল্য।
13। আসল=(বার্ষিক মুনাফা×১০০)/১০০
১৪। বার্ষিক মুনাফা= আসল×(বার্ষিক মুনাফার হার)/১০০
১৫। বার্ষিক মুনাফার হার= (বার্ষিক মুনাফা×১০০)/আসল
১৬। ১০ কুইন্টাল = ১ মেট্রিক টন।
১৭। ১ কুইন্টাল ১০০ কিলোগ্রাম (কেজি)
১৮। ১ মেট্রিক টন = ১০০০ কিলোগ্রাম (কেজি)।
১৯। ১ এয়র = ১০০ বর্গমিটার।
২০। ১ হেক্টর = ১০০০০ বর্গ মিটার।
২১। আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ।
২২। সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল = ভুমি × উচ্চতা।
২৩। ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল = (ভুমি × উচ্চতা) ÷ ২
২৪। দৈর্ঘ্য = ক্ষেত্রফল ÷ প্রস্থ।
২৫। প্রস্থ = ক্ষেত্রফল ÷ দৈর্ঘ্য।
২৬। ভুমি = (ক্ষেত্রফর × ২) ÷ উচ্চতা।
২৭। উচ্চতা = (ক্ষেত্রফর × ২) ÷ ভুমি।
২৮। পরিসীমা = ২ × (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।
২৯। জনসংখ্যার ঘনত্ব = জনসংখ্যা ÷ আয়তন।
৩০। আয়তন = জনসংখ্যা ÷ ঘনত্ব।
৩১। ঘনত্ব = জনসংখ্যা ÷ আয়তন।
৩২। জনসংখ্যা = ঘনত্ব × আয়তন।
৩৩। ভাগ কী?
উঃ ভাগ হলো পুনঃ পুনঃ বিয়োগ।
৩৪। খোলা বাক্য কাকে বলে?
উঃ যখন কোনো বাক্যের সত্য, মিথ্যা যাচাই করা যায় না তাকে খোলা বাক্য বলে।
৩৫। গাণিতিক বাক্য কাকে বলে?
উঃ যখন কোনো বাক্যের সত্য না মিথ্যা যাচাই করা যায় তাকে গাণিতিক বাক্য বলে?
৩৬। অক্ষর প্রতীক কী?
উঃ অজানা সংখ্যা নির্দেম করতে যে বিশেষ প্রতীক বা অক্ষর ব্যবহার করা হয় তাকে অক্ষর প্রতীক বলে।
৩৭। গাণিতিক প্রতিক কী?
উঃ গণিতে যে প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাই গাণিতিক প্রতীক।
৩৮। সংখ্যা প্রতীক কয়টি ও কী কী?
উঃ সংখ্যা প্রতীক ১০ টি। যথা – ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯।
৩৯। প্রক্রিয়া প্রতীক কয়টি ও কী কী?
উঃ ৪টি যথাঃ+ - × ÷
৪০। সম্পর্ক প্রতীক কয়টি ও কী কী?
উঃ সম্পর্ক প্রতীক অনেক আছে। তবে
প্রাথমিকে ব্যবহ্রত সম্পর্ক প্রতীক ৬ টি যথাঃ = > < ≈ > <
৪১। গুণিতক কাকে বলে?
উঃ কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা যে সকল সংখ্যাকে নিঃশেষে ভাগ করা যায়, সেই সকল সংখ্যার প্রত্যেককে ঐ নির্দিষ্ট সংখ্যার গুণিতক বলে।
৪২। লসাগু কাকে বলে?
উঃ দুই বা ততোধিক সংখ্যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট সাধারণ গুণিতককে বরে লসাগু।
৪৩। গসাগু কাকে বলে?
উঃ একাধিক সংখ্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সাধারণ গুণনীয়ক হলো গসাগু।
৪৪। গুণনীয়ক কাকে বলে?
উঃ কোনো সংখ্যা যে সকলসংখ্যা দ্বা বিভাজ্য, সেই সকল সংখ্যাকে গুণনীয়ক বলে।
৪৫। মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?
উঃ কোনো সংখ্যার গুণনীয়ক যদি ১ এবং ঐ সংখ্যা (শুধু দুইটি) হয় তাহলে সংখ্যাটিকে মৌলিক সংখ্যা বলে।
৪৬। সংখ্যারশি কী?
উঃ কতিপয় সংখ্যাকে প্রক্রিয়া চিহ্ন এবং প্রয়োজনে বন্ধনী দ্বারা যুক্ত করলে একটি সংখ্যা রাশি তৈরি হয়।
যেমনঃ (৩৬÷৪) × ৫ -৭
৪৭। ভগ্নাংশ কাকে বলে?
উঃ কোনো বস্তু বা পরিমানের অংশ নির্দেশ করতে যে সংখ্যা ব্যবহৃত হয় তাকে ভগ্নাংশ বলে।
৪৮। প্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে?
উঃ যে ভগ্নাংশের লব ছোট এবং হর বড় তাকে প্রকৃত ভগ্নাংশ বলে।
৪৯। অপ্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে?
উঃ যে ভগ্নাংশের লব বড় এবং হর ছোট তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলে।
৫০। সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ কাকে বলে?
যেসব ভগ্নাংশের হর একই তাকে সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশ বলে।
৫১। মিশ্র ভগ্নাংশ কাকে বলে?
উঃ যে ভগ্নাংশে পূর্ণ সংখ্যার সাথে প্রকৃত ভগ্নাংশ যুক্ত হয়ে থাকে তাকে মিশ্র ভগ্নাংশ বলে।
৫২। গড় কাকে বলে?
উঃ রাশিগুলোর যোগফলকে রাশি গুলোর সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাই গড়।
৫৩। শতকরা কী?
উঃ শতকরা হলো এমন একটি অনুপাত যা ১০০ এর ভগ্নাংশ রুপে প্রকাশ করা হয়।
৫৪। আসল কী?
উঃ বিনিয়োগকৃত টাকাকে আসল বলে।
৫৫। বৃত্ত কী?
উঃ বৃত্ত হলো একটি আবদ্ধ বক্ররেখা যার প্রত্যেক বিন্দু ভিতরের একটি বিন্দু থেকে সমান দুরে থাকে।
৫৬। পরিধি কী?
উঃ যে বক্ররেখাটি বৃত্তকে আবদ্ধ করে রেখেছে তাকে বলে পরিধি।
৫৭। জ্যা কী?
উঃ জ্যা হলো একটি বৃত্তচাপের শেষ প্রান্ত বিন্দু দুইটির সংযোজক রেখাংশ।
৫৮। ব্যাসার্ধ কী?
উঃ কেন্দ্র থেকে পরিধির দুরুত্বই হলো ব্যাসার্ধ।
৫৯। কর্ণ কাকে বলে?
উঃ বিপরীত শীর্ষ বিন্দুর সংযোগকারী রেখাকে কর্ণ বলে।
৬০। রম্বস কাকে বলে?
উঃ যে চতুর্ভূজের চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান তাকে রম্বস বলে।
৬১। আয়ত কাকে বলে?
উঃ যে চতুর্ভূজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল তাকে আয়ত বলে।
৬২। বর্গ কাকে বলে?
যে আয়তের চারটি বাহু সমান ও কোনগুলো সমান তাকে বর্গ বলে।
৬৩। চতুর্ভূজ কাকে বলে?
উঃ চারটি বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে চুতুর্ভূজ বলে।
৬৪। অধিবর্ষ কী?
উঃ চার দ্বারা বিভাজ্য বছরকে অধিবর্ষ বলে।
৬৫। ১ শতাব্দি কী?
উঃ ধারাবাহিক ১০০ বছর সময় কালকে ১ শতাব্দি বলে।
৬৬। যুগ কী?
উঃ ধারাবাহিক ভাবে ১২ বছর সময় কালকে ১ যুগ বলে।
৬৭। ১ দশক কী?
উঃ ধারাবাহিক ভাবে ১০ বছর সময় কাল হয় ১দশক।
৬৮। উপাত্ত কাকে বলে?
উঃ প্রাপ্ত তথ্য সমূহকে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করাকে উপাত্ত বলে।
৬৯। উপাত্ত কত প্রকার ও কী কী?
উঃ উপাত্ত ২ প্রকার। বিন্যস্ত উপাত্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত।
৭০। বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে?
উঃ যে উপাত্ত গুলো কোনো বৈশিষ্ট অনুযায়ী সাজানো থাকে তাকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
৭১। অবিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে?
উঃ যে উপাত্ত গুলো কোনো বৈশিষ্ট অনুযায়ী সাজানো থাকে না তাকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
৭২। লেখ চিত্র কাকে বলে?
উঃ চাক্ষুষ প্রদর্শনের জন্য রেখার সাহায্যে আঁকাচিত্র হলো লেখচিত্র।
৭৩। শ্রেনি ব্যবধান কী?
উঃ শ্রেণির উর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমার মধ্যে পার্থক্যই হলো শ্রেণি ব্যবধান।
৭৪। ঘটন সংখ্যার অপর নাম কী?
উঃ গণসংখ্যা
৭৫। জনসংখ্যার ঘনত্ব কী?
উঃ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাসরত লোক সংখ্য হলো জনসংখ্যার ঘনত্ব।
৭৬। ক্যালকুলেটর কী?
উঃ ক্যালকুলেটর হলো একটি সাধারণ গণনার জন্য হস্তচালিত একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা একটি বৈদুতিক ব্যটারি দ্বারা চলে।
৭৭। মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কী ক্যালকুলেটর ব্যবহৃত হয়?
উঃ বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেটর।
৭৮। কম্পিউটার কী?
উঃ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা ক্যালকুলেটর অপেক্ষা বড় গণনা করতে পারে।
৭৯। রাশিগুলোর যোগফল = গড় × রাশিগুলোর সংখ্যা।
৮০। যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে?
উঃ যে সংখ্যার গুণনীয়ক ১ এবং ঐ সংখ্যা ছাড়াও অন্য সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায়, তাকে যৌগিক সংখ্যা বলে।
৮১। পরিসর = (সর্ব্বোচ্চ -সর্বনিম্ন ) + ১
৮২। গুণ্য কাকে বলে?
উঃ যে সংখ্যাকে গুণ করা হয় তাকে গুণ্য বলে।
৮৩। গুণক কাকে বলে?
উঃ যে সংখ্যা দিয়ে গুণ করা হয় তাকে গুণক বলে।
৮৪। গুণফল কাকে বলে?
উঃ গুণ্যকে গুণক দ্বারা গুণ করার পর যে মান পাওয়া যায় তাকে গুণফল বলে।
৮৫। ভাজ্য কাকে বলে?
উঃ যে সংখ্যাকে ভাগ করা হয় তাকে ভাজ্য বলে।
৮৬। ভাজক কাকে বলে?
উঃ যে সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয় তাকে ভাজক বলে।
৮৭। ভাগশেষ কাকে বলে?
উঃ ভাজ্যকে ভাজক দ্বারা ভাগ করে যদি কোনো অবশেষ সংখ্যা থেকে যায় তবে তাকে ভাগশেষ বলে।
৮৮। ভাগফল কাকে বলে?
উঃ ভাজ্যকে ভাজক দ্বারা ভাগ করার পর যে মান পাওয়া যায় তাকে ভাগফল বলে।
৮৯। সমলব ভগ্নাংশ কাকে বলে?
উঃ যে ভগ্নাংশগুলোর লব সমান তাদেরকে সমলব বিশিষ্ট ভগ্নাংশ বলে।
৯০। ঐকিক নিয়ম কাকে বলে?
উঃ হিসাবের সুবিধার্তে প্রথমে একটির দাম বের করে সমস্য সমাধানের পদ্ধতিকে ঐকিক নিয়ক বলে।
৯১। ১ জোড়া = ২টি।
৯২। ১ হালি = ৪টি।
৯৩। ১ ডজন = ১২ টি।
৯৪। ১ কুড়ি = ২০ টি।
৯৫। ১ দিস্তা = ২৪ তা।
৯৬। ১ রীম = ২০ দিস্তা।
৯৭। ১ সপ্তাহ = ৭ দিন।
৯৮। ১ মাস = ৩০ দিন।
৯৯। ১ বছর = ১২ মাস = ৩৬৫ দিন।
১০০। মৌলিক সংখ্যার অপর নাম কী?
উঃ উৎপাদাক
১০১। দশমিক ভগ্নাংশ কী?
উঃ ভগ্নাংশ প্রকাশের একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো দশমিক ভগ্নাংশ।
১০২। বিপরীত ভগ্নাংশ কাকে বলে?
উঃ কোনো ভগ্নাংশের লবকে হর এবং হরকে লব করলে যে ভগ্নাংশ পাওয়া যায় তাকে বিপরীত ভগ্নাংশ বলে।
১০৩। শতকরাকে কী বলা হয়?
উঃ শতকারাকে শতাংশ বলা হয়।
১০৪। ১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি।
১০৫। ১ মেট্রিক টন = ১০ কুইন্টাল = ১০০০ কেজি।
১০৬। ১ লিটার = ১০০০ মিলিলিটার = ১০০০ ঘন সেন্টিমিটার।
১০৭। ১ ঘনমিটার = ১০০০০ লিটার।
১০৮। ১ কুইন্টাল = ১০০ কেজি।
১০৯। ১০০০ গ্রাম = ১ কেজি।
১১০। ১ পক্ষ = ১৫দিন।
0 Comments